পৃষ্ঠাসমূহ

java

তবে মৃত্যু হোক!
একযুগ মনখারাপের।
ফিরে যাওয়া হোক সেই দুরন্তপনায়।

নাহয় একটি রাষ্ট্র দাও,
যেখানে ভেতরের পাতায়
ধর্ষণের চটি থাকবে না।
প্রতারণার অভিনয় থাকবে না।
মায়া নামক অনুভুতির অসম্মান থাকবে না।

যেখানে বহুরূপী চোখে
""এখানে স্বস্তায় কৌষলে দেওয়া হয় বিশ্বাসঘাতকতা"র প্ল্যাকার্ড থাকবে না।

সেখানে, রাত জুড়ে মায়া,
চাঁদ জুড়ে মায়া,
চোখ জুড়ে কেবল,
মায়াই থাকুক।

২৭ এপ্রিল
রাত ৩:৫২মি:।

অভিনয়

অভিনয়

এই যে শুনছেন?
হুম, আপনাকেই বলছি।
এতো হাসাহাসি কেন?
লজ্জা লাগে না আপনার?
বুকের মধ্যে আস্ত একটা রক্তক্ষরণ নিয়ে
এভাবে আহ্লাদ না করে চুপ থাকেন।
অথবা একা একা বাসায় গিয়ে দরজার খিল
মেরে কাঁদতে পারেন। বরং
ওটা’ই আপনার কাজ।

বারবার ভুলে যান আপনি,
যে আপনি কোন থিয়েটারের অভিনেতা নন।

যথেষ্ট হয়েছে!  দয়া করে এবার থামুন!
না হয় আমি যাওয়ার আগে লিখে দিয়ে যাবো যেটা আপনি ছিলেন, সে কিন্তু আপনি ছিলেন না।
সে অন্যকেউ হবে হয়তো।

সাগর পাড়ে যেদিন রাতভর
বালির উপর একটা বিদেশি মদের বোতলের
সাথে ঘুমিয়ে পড়েছেন।
ওটাই আপনি ছিলেন।
আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি।

এভাবে আর নিজেকে লুকোবেন না।
এটা ঘোর অন্যায়, এ আর যেই হোক
অন্ততপক্ষে আপনি না।

এতো খুশি থাকাটা  আপনার মানায় না।
নিজেকে লুকোনো অনেক বড় অন্যায়।

কথাগুলো শুনিয়ে দিয়ে যে লোকটা
দূরে মিশে গেলো, তাকে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি,
সে কে। তাকে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি, কেনই বা সে আমাকে
এত জ্ঞান দিয়ে চলে গেলো। তাকে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি
সে কিভাবে আমার বা পাঁজরে লুকিয়ে রাখা রক্তক্ষরণ টা দেখতে পেলো?
হুম ভুলে গ্যাছি।
সত্যিই ভুলে গ্যাছি।

কারণ সকল মিথ্যে সম্পর্কই ইদানিং আমি ভুলে যাচ্ছি। সকল স্বার্থপর সম্পর্কগুলো এখন আমার আর মনে পড়ে না। আর মনে রাখতে চাই না যে কখনো আমি তোমাকে ছুয়ে ছিলাম। আমি মনেও রাখতে চাইনা যে কখনো তোমার চোখে আমি নিষ্পাপ একটি পৃথিবী দেখেছিলাম। তোমার চুলের ঘ্রাণ টাও আমার আর মনে নেই। তোমার সাথে বিকেলের নীড়ে ফেরা গাংচিল দেখা, রাতে সুখতারা গুনা, তারপর দিঘীরজলে ঢিল ছূড়ার সব, প্রায় সব কিছুই, ভুলে গ্যাছি।
আমি ভুলে গ্যাছি বিপা নামটা,
ভুলে গ্যাছি প্রিয়তম শব্দ টা।

বাই দ্যা ওয়ে, তুমি এখন যেতে পারো।
আমি ঘুমাবো।

১৯ জুন,
শনিবার,
রাত ৪:৪৫মি।

আমার পুরোটাই তুমি

আমার মরা মুখ যদি
হাসি মুখে থাকে;  তাহলে বুঝে নিও
তোমার প্রতি রাগ ছিলো না,
তোমার সুখ দেখেই
প্রশান্তি পেয়েছিলো আমার
সদ্য উড়ে যাওয়া আত্মা।

আর যদি দেখো মুখটা গম্ভীর,
তাহলে ধরে নিও আফসোস হয়েছিলো,  প্রচুর আক্ষেপ ছিলো
তোমাকে ভালোবাসার যোগ্যতা ছিলো না বলে।

তোমার প্রতি কোন রাগ নেই,
অভিমান নেই, ক্ষোভ নেই।
সব আমার নিজের উপর,
আর ভাগ্য বিধাতার ওপর।

এখানে এসেই যার সাথে আমায় থাকতে দিয়েছে।
এখানে যে আমাকে সব ভুলিয়ে দিয়েছে ওটা কি আত্মা! না;
বরঙ ওটা ছিলে তুমি।

থাকবে আগে আর পরে।

তুমিই শঙ্খচিল

তুমিই শঙ্খচিল

থমকে যাওয়া
ইচ্ছে গুলো
মুচড়ে দিয়ে বাঁচো,

বৃষ্টি ফোটার
ঢোলক নিয়ে
নুপুর পায়ে নাচো।

পাহাড় চুড়ার
বিকেল দেখ
আকাশ দেখ নীল,

আমি না হয়
শূণ্য হব
তুমিই শঙ্খ চিল।

সন্ধাকাশে
তারা দেখ
মধ্য রাতের চাঁদ,

স্বপ্ন দেখ
নতুন ভোরের
জন্মে জাগার স্বাধ।

২৩ সেপ্টেম্বর '১৬
রাত ৩:০৪ মি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য | নিচের লিঙ্কটা ক্লিক করুন

                                                http://dpe.teletalk.com.bd/dpe.php
 

মাধ্যমিক সকল রেসাল্ট

নিচের লিঙ্ক থেকে
 

কেউ কথা রাখেনি

কেউ কথা রাখেনি


কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?
একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!
বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!